বরগুনায় বুধবার প্রকাশ্যে নেওয়াজ রিফাত শরীফকে কুপিয়ে খুনের কাণ্ডে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসছে। এ কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত নয়ন বন্ড ও রিফাত ফরাজী গতকাল রাত পর্যন্ত ধরা পড়েনি। তারা এখন কারও আশ্রয়ে, নাকি গ্রেপ্তার এড়াতে দেশ ছেড়েছে-এ প্রশ্ন অনেকেরই। এর মধ্যেই এ ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক এ পি এম সুহেল।
তিনি লিখেছেন, ওকে, ফাইন। মিন্নির আগে নয়নের সাথে বিয়ে হয়েছিল। পরে আবার মিন্নি পারিবারিকভাবে রিফাতকে বিয়ে করে। এটা নয়ন সহ্য করতে না পেরে রিফাতকে কোপায়। ধরলাম, মিন্নির সাথে পরামর্শ করেই খুন করে নয়ন ও তার বন্ধুরা। অতএব এখানে খুনী নয়ন আর তার বন্ধুরা না। খুনী হল মিন্নি। অতএব, নয়ন আর তার সহযোগীদের বেকসুর খালাস দিয়ে মিন্নিকে ফাঁসি দেওয়া হোক! স্পষ্টত এখানে খুনী নয়ন ও তার সহযোগীরা। কিন্তু পাবলিক তাদের রেখে মিন্নির পেছনে লাগছে।
অথচ নয়ন আর তার সহযোগিরা গ্রেপ্তার হলে সব জট খুলে যেত। কিন্তু তা না, আমাদেরকে মিন্নির পেছনেই লাগতে হবে, খুনটাকে জায়েজ করতে হবে খুঁড়াযুক্তি দিয়ে! মিন্নি খুনী কি না, তা বলতে পারবে নয়ন। ভাইসব, নয়ন আর তার সহযোগীদের পিছনে লাগুন,সব বের হয়ে আসবে৷ মিন্নির পেছনে লেগে নয়ন আর তার গংদের আরো খুনের ক্ষেত্র তৈরি করে দিয়েন না!
ভাইসব, আমরা কিন্তু মিন্নিকে দিয়ে রিফাতকে কোপাইতে দেখি নাই। দেখছি নয়নকে দিয়ে, আর মিন্নিকে দেখেছি আটকাইতে। একবার নয়নকে থামাইতে, একবার আরেকজনকে থামাইতে। এখন মিন্নি জড়িত কিনা সেটা নয়নরাই বলতে পারবে, এতটুকু বুঝলেই যথেষ্ট। নয়ন আটক হলেই সব ক্লিয়ার হবে,যদি মিন্নি জড়িত থাকে সেও শাস্তি পাবে। কিন্তু আমাদের কনসার্নটা হওয়া উচিত নয়নদের নিয়ে, মিন্নি আপাতত অপশনাল সাব্জেক্ট। আর সঠিক তদন্তে মিন্নি যদি দোষী প্রমাণিত হয়ে থাকে, তাহলে নয়নদের সাথে তার ফাঁসিও দিতে হবে৷
উল্লেখ্য, গতকাল বুধবার (২৬ জুন) সকালে স্ত্রীকে কলেজে নিয়ে যান রিফাত শরীফ (২২)। কলেজ থেকে ফেরার পথে সামনের রাস্তায় প্রকাশ্য রিফাতের ওপর হামলা করে একদল দুর্বৃত্ত। এসময় স্ত্রী আয়েশা তাদের বাধা দিয়েও আটকাতে পারেননি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় রিফাতকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওইদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রিফাত।
সূত্র: বিডিমর্নিং